Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রকল্পের নাম
তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন (২য় পর্যায়)
বিস্তারিত

প্রকল্পের নামঃ তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন (২য় পর্যায়)

জনাব মীনা পারভীন, প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)

কোম্পানীগঞ্জ সিলেটে কার্যালয়ের ঠিকানা: তথ্যকেন্দ্র, জয়নাল আবেদীন মঞ্জিল, উত্তর বুড়দেও, উপজেলা পরিষদ, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট। 

এক নজরে তথ্য আপা প্রকল্প

প্রকল্পের নাম:  তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ 
                 প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায় )।

উদ্যোগী মন্ত্রণালয় : মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

বাস্তবায়নকারী সংস্থা : জাতীয় মহিলা সংস্থা

মেয়াদ  : এপ্রিল ২০১৭ থেকে মার্চ ২০২২
জনবল : প্রকল্পের মোট জনবল ১৯৭৮ জন। প্রধান কার্যালয়ে ১৮ জন এবং ৪৯০টি তথ্যকেন্দ্রে ১৯৬০ জন।
প্রাক্কলিত ব্যয় : ৫৪৪৯০.৭৪ লক্ষ (পাঁচশত চুয়াল্লিশ কোটি নব্বই লক্ষ চুয়াত্তর হাজার) টাকা।
প্রকল্প এলাকা : প্রকল্পের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। আটটি বিভাগের চৌষট্টিটি জেলার অন্তর্গত চারশত নব্বইটি উপজেলায় প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

প্রকল্পের লক্ষ্য

তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানে সমান অধিকার ও সুযোগ দিয়ে নারীদের সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে অবদান রাখছে ‘আইসিটি’ । ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’গড়ে তোলার মহৎ উদ্যোগ পরির্পূণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে যদি ‘আইসিটি’ র ক্ষমতা ও দক্ষতার সাহায্যে নারীর ক্ষমতায়ন উদ্যোগকে গুণগত ভাবে এবং পরিমাপযোগ্য ভাবে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া যায়।

বাংলাদেশের গ্রামের অসহায়, দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত কিংবা কম সুবিধাপ্রাপ্ত নারীর তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং তাদেরকে তথ্য প্রযুক্তির সেবা প্রদান নি:সন্দেহে নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে। এ লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক “তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক প্রকল্পটি গৃহীত হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক উক্ত প্রকল্পটি ১ম পর্যায়ে ১৩টি উপজেলায় সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ৪৯০টি উপজেলায় তৃণমূল নারীদের নিকট পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ০৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদী (এপ্রিল ২০১৭ থেকে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত) “তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)” গৃহীত হয়েছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য

মূল উদ্দেশ্য

গ্রামীণ সুবিধা বঞ্চিত মহিলাদের তথ্য প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার এবং তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন।

সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য

১. বাংলাদেশের ৪৯০টি উপজেলায় তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা;

২. তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে (০১) এক কোটি গ্রামীণ মহিলাদের উদ্বুদ্ধ করণ এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করা;

৩. তথ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে ই-কমার্স সহায়তা প্রদান ;

৪. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন দল গঠন করা।

প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে অর্জন

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার  লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পটি  ১ম পর্যায়ে জুলাই ২০১১ হতে ডিসেম্বর ২০১৫ মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়।

প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে নিম্নবর্ণিত ১৩টি উপজেলায় ১৩টি তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয় :

ক্রমিক নং বিভাগ জেলা উপজেলা
 

 

 

 

ঢাকা বিভাগ

গাজীপুর কালিগঞ্জ
গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া
কিশোরগঞ্জ ভৈরব
 

 

 

 

চট্টগ্রাম বিভাগ

খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা
নোয়াখালী চাটখিল
কুমিল্লা দেবিদ্বার
রাজশাহী বিভাগ নওঁগা পত্নীতলা
 

 

 

 

খুলনা বিভাগ

কুষ্টিয়া ভেড়ামারা
বাগেরহাট মোল্লাহাট
 

 

 

 

বরিশাল বিভাগ

বরিশাল গৌরনদী
পটুয়াখালী পটুয়াখালী সদর
রংপুর বিভাগ গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ
সিলেট বিভাগ মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল

 

  • ১৩টি তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে ২,৬৩,৩২৯ জন গ্রামীণ মহিলাদের তথ্য  সেবা প্রদান করা হয়েছে;
  • উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ২৫৩২৩ জন গ্রামীণ মহিলাকে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক কার্যক্রমে সচেতন করা হয়;
  • ওয়েব পোর্টাল, তথ্যভাণ্ডার, উইমেন টিভি, এমআইএস সফটওয়্যার, মোবাইল এপ্লিকেশন এবং কল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে;

ভবিষ্যত্‍ পরিকল্পনা

প্রকল্প মেয়াদ শেষে প্রকল্পের আউটপুট জাতীয় মহিলা সংস্থার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। তথ্যআপা প্রকল্পের প্রধান কার্যালয়ের অনলাইন কার্যক্রমসমূহ (ওয়েব পোর্টাল, তথ্য ভাণ্ডার, তথ্যআপা আইপি টিভি, এমআইএস সফটওয়্যার এবং এ সংক্রান্ত ইকুইপমেন্ট/যন্ত্রাংশ) এবং কম্পিউটার ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি জাতীয় মহিলা সংস্থার হেফাজতে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। উক্ত অনলাইন কার্যক্রমসমূহ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিয়ে পদ সৃষ্টি করা হবে। উল্লেখ্য, প্রকল্প মেয়াদ শেষে তথ্যআপা প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা ও উপজেলা অফিসের মাধ্যমে অব্যাহত রাখা হবে। বর্তমানে ৬৪টি জেলা এবং ৫০টি উপজেলায় জাতীয় মহিলা সংস্থার অফিস রয়েছে। অবশিষ্ট উপজেলায় জাতীয় মহিলা সংস্থার অফিস প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রকল্পের সাসটেইনিবিলিটি নিশ্চিতকরণে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহন করা হবে:

  • মাইন্ড ইন্সপায়ার টু ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট দল গঠন ।
  • ই-লার্নিং এর মাধ্যমে উদ্যোগী মহিলাদের বিশেষভাবে গড়ে তোলা ।
প্রকল্প শুরু
01/04/2017
শেষের তারিখ
31/03/2022
প্রকল্পের ধরণ
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) এর গোপনীয় শাখা
label.Details.title

প্রকল্পের নামঃ তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন (২য় পর্যায়)

জনাব মীনা পারভীন, প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)

কোম্পানীগঞ্জ সিলেটে কার্যালয়ের ঠিকানা: তথ্যকেন্দ্র, জয়নাল আবেদীন মঞ্জিল, উত্তর বুড়দেও, উপজেলা পরিষদ, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট। 

এক নজরে তথ্য আপা প্রকল্প

প্রকল্পের নাম:  তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ 
                 প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায় )।

উদ্যোগী মন্ত্রণালয় : মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

বাস্তবায়নকারী সংস্থা : জাতীয় মহিলা সংস্থা

মেয়াদ  : এপ্রিল ২০১৭ থেকে মার্চ ২০২২
জনবল : প্রকল্পের মোট জনবল ১৯৭৮ জন। প্রধান কার্যালয়ে ১৮ জন এবং ৪৯০টি তথ্যকেন্দ্রে ১৯৬০ জন।
প্রাক্কলিত ব্যয় : ৫৪৪৯০.৭৪ লক্ষ (পাঁচশত চুয়াল্লিশ কোটি নব্বই লক্ষ চুয়াত্তর হাজার) টাকা।
প্রকল্প এলাকা : প্রকল্পের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। আটটি বিভাগের চৌষট্টিটি জেলার অন্তর্গত চারশত নব্বইটি উপজেলায় প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

প্রকল্পের লক্ষ্য

তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানে সমান অধিকার ও সুযোগ দিয়ে নারীদের সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে অবদান রাখছে ‘আইসিটি’ । ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’গড়ে তোলার মহৎ উদ্যোগ পরির্পূণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে যদি ‘আইসিটি’ র ক্ষমতা ও দক্ষতার সাহায্যে নারীর ক্ষমতায়ন উদ্যোগকে গুণগত ভাবে এবং পরিমাপযোগ্য ভাবে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া যায়।

বাংলাদেশের গ্রামের অসহায়, দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত কিংবা কম সুবিধাপ্রাপ্ত নারীর তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং তাদেরকে তথ্য প্রযুক্তির সেবা প্রদান নি:সন্দেহে নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে। এ লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক “তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক প্রকল্পটি গৃহীত হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক উক্ত প্রকল্পটি ১ম পর্যায়ে ১৩টি উপজেলায় সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ৪৯০টি উপজেলায় তৃণমূল নারীদের নিকট পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ০৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদী (এপ্রিল ২০১৭ থেকে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত) “তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)” গৃহীত হয়েছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য

মূল উদ্দেশ্য

গ্রামীণ সুবিধা বঞ্চিত মহিলাদের তথ্য প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার এবং তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন।

সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য

১. বাংলাদেশের ৪৯০টি উপজেলায় তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা;

২. তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে (০১) এক কোটি গ্রামীণ মহিলাদের উদ্বুদ্ধ করণ এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করা;

৩. তথ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে ই-কমার্স সহায়তা প্রদান ;

৪. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন দল গঠন করা।

প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে অর্জন

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার  লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পটি  ১ম পর্যায়ে জুলাই ২০১১ হতে ডিসেম্বর ২০১৫ মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়।

প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে নিম্নবর্ণিত ১৩টি উপজেলায় ১৩টি তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয় :

ক্রমিক নং বিভাগ জেলা উপজেলা
 

 

 

 

ঢাকা বিভাগ

গাজীপুর কালিগঞ্জ
গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া
কিশোরগঞ্জ ভৈরব
 

 

 

 

চট্টগ্রাম বিভাগ

খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা
নোয়াখালী চাটখিল
কুমিল্লা দেবিদ্বার
রাজশাহী বিভাগ নওঁগা পত্নীতলা
 

 

 

 

খুলনা বিভাগ

কুষ্টিয়া ভেড়ামারা
বাগেরহাট মোল্লাহাট
 

 

 

 

বরিশাল বিভাগ

বরিশাল গৌরনদী
পটুয়াখালী পটুয়াখালী সদর
রংপুর বিভাগ গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ
সিলেট বিভাগ মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল

 

  • ১৩টি তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে ২,৬৩,৩২৯ জন গ্রামীণ মহিলাদের তথ্য  সেবা প্রদান করা হয়েছে;
  • উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ২৫৩২৩ জন গ্রামীণ মহিলাকে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক কার্যক্রমে সচেতন করা হয়;
  • ওয়েব পোর্টাল, তথ্যভাণ্ডার, উইমেন টিভি, এমআইএস সফটওয়্যার, মোবাইল এপ্লিকেশন এবং কল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে;

ভবিষ্যত্‍ পরিকল্পনা

প্রকল্প মেয়াদ শেষে প্রকল্পের আউটপুট জাতীয় মহিলা সংস্থার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। তথ্যআপা প্রকল্পের প্রধান কার্যালয়ের অনলাইন কার্যক্রমসমূহ (ওয়েব পোর্টাল, তথ্য ভাণ্ডার, তথ্যআপা আইপি টিভি, এমআইএস সফটওয়্যার এবং এ সংক্রান্ত ইকুইপমেন্ট/যন্ত্রাংশ) এবং কম্পিউটার ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি জাতীয় মহিলা সংস্থার হেফাজতে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। উক্ত অনলাইন কার্যক্রমসমূহ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিয়ে পদ সৃষ্টি করা হবে। উল্লেখ্য, প্রকল্প মেয়াদ শেষে তথ্যআপা প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা ও উপজেলা অফিসের মাধ্যমে অব্যাহত রাখা হবে। বর্তমানে ৬৪টি জেলা এবং ৫০টি উপজেলায় জাতীয় মহিলা সংস্থার অফিস রয়েছে। অবশিষ্ট উপজেলায় জাতীয় মহিলা সংস্থার অফিস প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রকল্পের সাসটেইনিবিলিটি নিশ্চিতকরণে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহন করা হবে:

  • মাইন্ড ইন্সপায়ার টু ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট দল গঠন ।
  • ই-লার্নিং এর মাধ্যমে উদ্যোগী মহিলাদের বিশেষভাবে গড়ে তোলা ।
কাজের বর্ননা

কার্যক্রম

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পটিতে মূলত Information Technology এর উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে ৷ সুযোগবঞ্চিত ও কম সুযোগপ্রাপ্ত মহিলারা যেন Information Technology এর ব্যবহারের সুযোগ গ্রহনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে পারে ও সহজে তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাহায্য পেতে পারে সেই বিষয়টির উপর জোর দেয়া হয়েছে ৷

প্রকল্পের কার্যক্রম সমূহ :

(১) তথ্য কেন্দ্র (Information Center):  

বাংলাদেশের ৪৯০টি উপজেলার প্রত্যেকটিতে প্রকল্পের আওতায় একটি করে তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিটি তথ্য কেন্দ্রে ০১ জন তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও ০২ জন তথ্য সেবা সহকারী তথ্য প্রযুক্তি সেবা প্রদানের কাজে নিয়োজিত আছেন। এরাই প্রকল্প এলাকায় “তথ্য আপা” হিসাবে পরিচিত। তথ্য আপারা তথ্যকেন্দ্রে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, উপজেলার সরকারি সেবা সমূহের সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরা, ভিডিও কনফারেন্স, ই-লার্নিং, ই-কমার্স ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন। এছাড়া তথ্য আপারা ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রকল্প এলাকাধীন গ্রামবাসীর বাড়িতে গিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন, ব্যবসা, জেন্ডার এবং কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্যসেবা প্রদান করছেন।

তথ্য কেন্দ্র সমুহের সুবিধা গুলো হলো:

ক.ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যসেবা প্রদান :

তথ্য কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে। প্রকল্পের উপকারভোগীগণকে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ই-মেইল, স্কাইপের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া চাকরির খবর, বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল, সরকারী বিভিন্ন সেবাসমূহের তথ্য বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।

খ.  প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা (Primary Healthcare):

তথ্য কেন্দ্রসমূহ হতে মহিলা ও শিশুদের বিনামূল্যে নিম্নলিখিত প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাসমূহ প্রদান করা হচ্ছেঃ

  1.  ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা
  2.  ওজন পরিমাপ
  3.  ডায়াবেটিস পরীক্ষা

গ. ডোর টু ডোর তথ্য সেবা (Service at Door to Door Step):

প্রতিটি তথ্য কেন্দ্রে নিয়োজিত তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও তথ্যসেবা সহকারীগণ সংশ্লিষ্ট উপজেলার বাড়ি-বাড়ি  গিয়ে ল্যাপটপ ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন, ব্যবসা, জেন্ডার এবং কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সহায়তা করছেন এবং স্কাইপের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তার সাথে সেবাগ্রহীতার কথোপকথনের মাধ্যমে সমস্যার দ্রুত ও কার্যকরী সমাধানে সহযোগিতা করছেন।

       ঘ. Voice of women

এসকল তথ্য কেন্দ্রে মহিলা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু ,অভিযোগ মতামত, স্থানীয় সমস্যা ইত্যাদির রেকর্ড রেখে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয় ৷ নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সংক্রান্ত রের্কড বুক সংরক্ষণ করা হয় এসকল তথ্য কেন্দ্রে ৷

      

 ঙ. প্রশিক্ষণ

প্রকল্পের আওতায় ৪৯০ টি তথ্য কেন্দ্রের জন্য ৪৯০ জন তথ্য সেবা কর্মকর্তা এবং ৯৮০ জন তথ্য সেবা সহকারী নিয়োগ করা হয়েছে। শুধুমাত্র মহিলা প্রার্থীদের এ পদে নিয়োগ করা হয়েছে। তথ্য আপা হিসেবে এরাই কাজ করছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত তথ্যসেবা কর্মকর্তা এবং তথ্যসেবা সহকারীগণ যাতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে মাঠপর্যায়ে তথ্য সেবা প্রদান করতে পারেন সে লক্ষ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে গড়ে তোলা প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আইসিটিপ্রকল্প ব্যবস্থাপনাসরকারী বিধি বিধানহিসাব রক্ষণবাজেট নিয়ন্ত্রণঅফিস ব্যবস্থাপনা ও জেন্ডার ইস্যু ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা এবং নারী অধিকার সংক্রান্ত আইন নীতিমালা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

চ. Research Center: 

তথ্যকেন্দ্র কর্তৃক সংগৃহীত এসব তথ্য ভবিষ্যতে মহিলা বিষয়ক যেকোনো গবেষণার জন্য সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছে ৷

(২) তথ্য ভান্ডার / Comprehensive Database (Knowledge Bank):

একটি সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলা হয়েছে ৷ এ তথ্য ভান্ডারে মহিলা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্যের মজুদ আছে । তথ্য ভান্ডারের প্রধান সুবিধা হল মহিলা বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী একটি প্রবেশযোগ্য সুনির্দিষ্ট স্থানে (Data Base) প্রাপ্তি ৷ এ তথ্য ভান্ডারের আরো সুবিধা হল তথ্যসমুহ বিতরণ ও ব্যবহারে কোনো অর্থ ব্যয় হয় না ৷ তথ্য প্রবাহে স্বাস্থ্য সমস্যা, মাতৃত্বজনিত সমস্যা, প্রাথমিক চিকিৎসা, চাকুরী বাজার, মহিলা উদ্যোক্তা ও বেকার মহিলাদের জন্য চাকুরীর তথ্য প্রদান, বাল্য বিবাহ, ফতোয়া, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বিষয়ে নির্দেশনা ইত্যাদি বিষয়াবলী উল্লেখ রয়েছে ৷ এ সকল তথ্যাবলী Raw Format ও Digital Format উভয়ে সংরক্ষন করা হয়েছে।তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান উৎস থেকে এবং জরিপের মাধ্যমে তথ্য সংগৃহীত হয়েছে।

তথ্য ভান্ডারের ঠিকানা: http://info.totthoapa.gov.bd

(৩) ওয়েব পোর্টাল (Web Portal)

ওয়েব পোর্টালের মূল উপজীব্য হল নারী ৷ নারী সম্পর্কিত নানান ঘটনা, বিষয়াবলী, নারী নীতি এবং নারীকেন্দ্রিক তথ্য প্রবাহ – এ সবই এই ওয়েব পোর্টালের মুখ্য বিষয় ৷ বাংলা ও ইংরেজীতে তৈরি এ ওয়েবপোর্টালের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে তথ্যভান্ডার এবং আইপি টিভি। ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে নারী বিষয়ক বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, তাদের কর্মসূচি ও কার্যক্রমের পরিধি সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। আরো রয়েছে ব্লগিং ও অনলাইন আবেদনপত্র পেশসহ বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগের ব্যবস্থা । ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে যে সুবিধাগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হল:

  • নারী বিষয়ক ডিজিটাল তথ্য ভান্ডার (Women Knowledge Bank) এর সাথে সংযোগ স্থাপন।
  • ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে মহিলা ও শিশু বিষয়ক তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরন ।
  • প্রয়োজন মাফিক তথ্য খুঁজে বের করার সুবিধা তৈরী ।
  • বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় পোর্টাল ব্যবহারের সুযোগ ।
  • নারী সংক্রান্ত খবরাখবর এবং নারী নীতির সর্বশেষ আপডেট ।
  • ব্লগ সার্ভিস ।
  • নারীদের জন্য উপযুক্ত দক্ষতাসম্পন্ন কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যের সন্নিবেশ।

ওয়েব পোর্টালের ঠিকানা: www.totthoapa.gov.bd

(৪) আইপি টিভি (IP T.V)

প্রকল্পের আওতায় যে ওয়েব পোর্টাল তৈরী করা হয়েছে সেখানে যোগ করা হয়েছে একটি অনলাইন টিভি ৷ এই টিভির নাম আইপি টিভি ৷ ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে এই টিভি দেখা সম্ভব ৷ এই টিভিতে যে সকল প্রোগ্রাম প্রচার করা হয় সেগুলোর মূল উপজীব্য হবে নারী সংক্রান্ত বিষয়াবলী ৷ তাছাড়া, সেখানে থাকছে একটি ভিডিও এবং স্থিরচিত্রের সংগ্রহশালা ৷

আইপি টিভির ঠিকানা: http://womentv.totthoapa.gov.bd

 (৫) প্রকল্পের সেবা-গ্রহীতা :

প্রকল্পের শিরোনাম থেকেই এটা পরিষ্কার যে এ  প্রকল্প শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ৷ ক্ষেত্র বিশেষে নারী ও শিশুর উন্নয়নের কথাও প্রকল্প দলিলে বলা হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে প্রকল্পের সেবা গ্রহীতাগণ হচ্ছে :

১৷ উপ-শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত নারীগোষ্ঠী, বিশেষ করে যারা কিছুটা দক্ষতাসম্পন্ন এবং যাদের মধ্যে উদ্যেগী মনোভাব বিদ্যমান, তারাই হচ্ছেন তথ্য ভান্ডার (knowledge bank) এর প্রধান সেবা-গ্রহীতা ৷ তবে সাধারণভাবে তথ্য ভান্ডার এর সেবা সকল নারীর জন্যই প্রযোজ্য ৷ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক তথ্য, রান্না বিষয়ক অথবা দৈনন্দিন জীবনের নানা দরকার মেটানোর জন্য দরকারী তথ্য, প্রয়োজনীয় আইনী  সহায়তা, শিশু বিষয়ক নানান তথ্য, চাকুরী অনুসন্ধান ইত্যাদি সকল ধরনের তথ্যের জন্য এই নারীগোষ্ঠীর সামনে তথ্য ভান্ডারের দুয়ার থাকছে খোলা ৷

২৷ তথ্য-কেন্দ্র (Information Center) এর ক্ষেত্রে সেবা গ্রহীতা হল সে সকল মহিলা যারা তথ্য-কেন্দ্রের আশ-পাশের এলাকাতেই অবস্থান করেন এবং ইন্টারনেট সুবিধা বঞ্চিত। তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও তথ্যসেবা  সহকারীদের মাধ্যমে নারী ও শিশু বিষয়ক যেকোনো তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সুবিধা বঞ্চিত নারীগোষ্ঠী তথ্য-কেন্দ্রের সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন।

৩৷ তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর তথ্য-সেবা বিতরণ এবং গ্রামীণ মহিলা জনগোষ্ঠী কর্তৃক সেই সেবা গ্রহণে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উদ্বুদ্ধকরণ আলোচ্য প্রকল্পের অন্যতম কার্যক্রম। বাংলাদেশের ৪৯০ টি উপজেলার ০১(এক) কোটি মহিলাকে এই সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।

৪৷ তথ্য ভান্ডার (Knowledge Bank) তৈরীর মাধ্যমে এক বিপুল জ্ঞান ভান্ডার সকলের জন্য উম্মুক্ত রয়েছে ৷ শিক্ষাবিদ, গবেষক, নীতি নির্ধারক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ নির্বিশেষে সকলেই এই জ্ঞান ভান্ডার ব্যবহার করে একদিকে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করতে পারছেন, একই সাথে দেশের নারী উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের একটি সমৃদ্ধ উৎস হিসাবে এই তথ্য ভান্ডার (Knowledge Bank) কাজ করছে ৷

 

সদর দপ্তরের কার্যক্রম এবং তথ্য কেন্দ্রের কার্যক্রম

সদর দপ্তরের কার্যক্রম : প্রকল্পের সদর দপ্তর প্রকল্পের সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু। সদর দপ্তরের প্রধান কার্যক্রম গুলো হল-
১. প্রশাসনিক কার্যক্রম ।
২. দ্রব্য, সেবা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সেবা ক্রয়কার্যক্রম সম্পাদন ।
৩. প্রচার কার্যক্রম ।
৪. সভা ও সেমিনার ও মেলায় অংশগ্রহণ সংক্রান্ত ।
৫. তথ্য ভান্ডার, ওয়েবপোর্টাল, আইপি টিভি ইত্যাদি সফটওয়্যার উন্নয়ন কাজের তদারকি, নিয়ন্ত্রন ও সংরক্ষণ ।
৬. তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং তথ্য কেন্দ্রের সকল কার্যক্রম মনিটরিং ।
৭. প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা ।
৮. রিপোর্টিং কার্যক্রম ।
৯. মন্ত্রণালয়, জাতীয় মহিলা সংস্থা ও অন্যান্য সরকারী অফিসের সাথে যোগাযোগ রক্ষা ।

তথ্য কেন্দ্রের কার্যক্রমঃ

১. উঠান বৈঠক- মুক্ত আলোচনা ও সচেতনাতামূলক কার্যক্রমঃ

তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে তথ্য সেবা প্রদানের পাশাপাশি সেবাগ্রহীতাদের জন্য উঠান বৈঠক আয়োজন করে গ্রামীণ তৃণমূল মহিলাদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। প্রতিটি উঠান বৈঠকে ৫০ জন গ্রামীণ মহিলা অংশ গ্রহণ করে থাকেন। মাসে প্রতিটি তথ্যকেন্দ্রে ২টি করে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উঠান বৈঠকে গ্রামীণ মহিলাদের জীবন ও জীবিকা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় যেমন: স্বাস্থ্যগত সমস্যা, বাল্যবিবাহ, ফতোয়া, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, চাকরি সংক্রান্ত তথ্য, আইনগত সমস্যা এবং ডিজিটাল সেবাসমূহের নানাদিক (ই-মেইল, ভিডিও কনফারেন্স) সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

তথ্যকেন্দ্রে কর্মরত তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও তথ্যসেবা সহকারীগণ উঠান বৈঠকে উপস্থিত গ্রামীণ মহিলাদের ইন্টারনেট বাস্তব ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতি প্রদর্শন করেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সরকারি আইটি বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি ইত্যাদি বিষয়ে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মুক্ত আলোচনা করে থকেন। এছাড়া স্থানীয় নারী উদ্যোক্তা, নারী আইনজ্ঞ, সমাজসেবী, সমাজের নেতৃত্বদানকারী মহিলারাও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা যেমন: বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, যৌতুক নিরোধ আইন, পারিবারিক সহিংসতা এবং নারীনীতি সম্পর্কে মুক্ত আলোচনা করেন।

২. তথ্যকেন্দ্রের তথ্য সেবাঃ

যে সকল সেবাগ্রহীতা আগমন করেন তাদের বিভিন্ন ওয়েবসাইট সম্পর্কে সচেতন করা হয় । স্কাইপে কথা বলা, পরীক্ষার ফলাফল দেখা, চাকুরী সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা, সরকারী সেবা সম্পর্কে অবহিত করা, সরকারী সেবাপ্রদানকারী অফিসের সাথে যোগাযোগ করা ইত্যাদি সেবা প্রদান করা হয় । গ্রামীন মহিলাদের  প্রাথমিক  স্বাস্থ্য  সেবা সম্পর্কে সচেতন করা, ওজন মাপা, প্রেসার মাপা, ডায়াবেটিস মাপা ইত্যাদি সেবা গ্রহীতাদের বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

 ডোর টু ডোর সেবাঃ 

গ্রামীন মহিলাদের তথ্য প্রযুক্তি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও তথ্যসেবা সহকারীগণ গ্রামের মহিলাদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে সেবা দিয়ে থাকেন। তাদের সাথে ল্যাপটপ এবং মডেম থাকে। গ্রামে পরিবার পর্যায়ে মহিলাদের তথ্য সেবা দেওয়ার জন্য তারা ল্যাপটপ ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করে তাদের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন । গ্রামীন মহিলারা নিজ ঘরে বসেই তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছেন এবং এই সেবা তাদের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করছে ।

ডাউনলোড